Tuesday, 20 December 2016

হাদীস


হযরত অাবু হোরায়রা (রাঃ) হই‌তে ব‌র্ণিত অা‌ছে,রাসূল (সাঃ) হাদী‌সে কুদসী‌তে তাঁহ‌ার প্র‌তিপাল‌কের এই বাণী বর্ণনা ক‌রেন,অাদম সন্তানরঅামা‌কে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত ক‌রিয়া‌ছে,অথচ ইহা তাহার জন্য উচিত ছিলনা।অার অামা‌কে গা‌লি দিয়া‌ছে,অথচ তাহার এইরুপ গা‌লি দেওয়ার অ‌ধিকার ছিলনা।অামা‌কে তাহারা মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা এই যে,‌সে ব‌লে,অা‌মি তাহা‌কে পুনরায় জী‌বিত ক‌রি‌তে পা‌রিবনা,‌যে ভা‌বে প্রথমবার সৃ‌ষ্টি ক‌রিয়া‌ছিলাম।অার তাহার গালাগা‌লি দেওয়া এই যে,‌সে ব‌লে,অা‌মি কাহা‌কেও নি‌জের ছে‌লে বানাইয়া লইয়া‌ছি।অথচ অা‌মি কাহা‌রো মুখা‌পেক্ষী ন‌হি।অামার কোন সন্তান নাই।অাম‌ি কাহা‌রো সন্তান ন‌হি এবং কেহ অামা‌র সমকক্ষ ন‌হে।
                                                                                             -(‌বোখারী)

Sunday, 2 October 2016

হযরত আবু জর (রাঃ)

হযরত আবু জর (রাঃ) বর্ণনা করেন,রাসূ্ল (সাঃ) বলিয়াছেন,আমি সেই সব জিনিস দেখি যাহা তোমরা দেখ না এবং আমি সেইসব কথা শুনি যাহা তোমরা শোন না।আকাশ মড় মড় করিয়া আওয়াজ করে আর আকাশের মড় মড় করাই সমীচীন,সেখানে চারি আঙ্গুল জায়গাও এমন খালি নাই যেখানে কোন কোন ফেরেশতা আপন কপাল আল্লাহ তায়ালার সামনে সেজদায় ফেলিয়া রাখে নাই।আল্লাহর শপথ আমি যাহা জানি যদি তোমরা তাহা জানিতে,তবে কম হাসিতে এবং বেশী কাঁদিতে,বিছানায় স্ত্রীদের সহিত আনন্দ উপভোগ করিতে না।আর আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করিতে করিতে জঙ্গলে বাহির হইয়া যাইতে।বলিতে থাকিতে,হায়!যদি আমি এমন একটি গাছ হইতাম যাহা কাটিয়া ফেলা হইত।                                                                                             -(তিরমিজি)

Friday, 29 July 2016

হযরত আবু জর (রাঃ)।

     হযরত আবু জর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে,রাসূল (সাঃ) হাদীসে কুদসীতে তাঁহার প্রতিপালকেরর এই বাণী উল্লেখ করিয়াছেন,হে আমার বান্দাগণ আমি নিজের উপর জুলুমকে হারাম করিয়াছি,কাজেই তোমাদের মধ্যেও জুলুম হারাম করা হইয়াছে।কাজেই তোমরা একে অন্যের উপর জুলুম করিবেনা।হে আমার বান্দাগণ!তোমরা সবাই পথভ্রষ্ট যাহাকে আমি হেদায়েত দান করি সে ব্যতীত।কাজেই তোমরা আমার নিকট হেদায়েত চাও,আমি তোমাদেরকে হেদায়েত দান করিব।হে আমার বান্দাগণ!তোমরা সবাই ক্ষুধার্ত সেই ব্যক্তি ব্যতীত,যাহাকে আমি আহার করাই।কাজেই তোমরা আমার নিকট আহার চাও,আমি তোমাদেরকে আহার করাইব।হে আমার বান্দাগণ! তোমরা সকলেই বস্ত্রহীন শুধু সেই ব্যক্তি ব্যতীত,যাহাকে আমি পরিধান করাই।কাজেই তোমরা আমার নিকট বস্ত্র চাও,আমি তোমাদেরকে পরিধান করাইব।
      হে আমার বান্দাগণ! তোমরা দিনরাত গুনাহ কর আর আমি তেমাদের গুনাহসমূহ মাফ করি।কাজেই তোমরা আমার নিকট মাফ চাও,আমি ক্ষমা করিয়া দিব।হে আমার বান্দাগণ! তোমরা আমার ক্ষতি করিতে চাহিলে কখনো আমার কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না।আর তোমরা আমার উপকার করিতে চাহিলে উপকারও করিতে পারিবে না।হে আমার বান্দাগণ!যদি তোমাদের পূর্ববর্তী পরবর্তী সকল মানুষ ও জিন সেই ব্যক্তির মত হয় যাহারা অন্তরে আমার   ভয় সবচেয়ে বেশী বিদ্যমান,তবে ইহা আমার রাজত্ব সামান্যও বৃদ্ধি করিতে পারিবে না।হে আমার বান্দাগণ!যদি তোমাদের পূর্ববর্তী পরবর্তী সকল মানুষ এবং জিন সেই ব্যক্তির মত হয় যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশী পাপচারী দুস্কৃতকারী,তবে ইহা আমার রাজত্বের কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না।হে আমার বান্দাগণ!তোমাদের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সকল মানুষ ও জিন যদি খোলা ময়দানে দাঁড়াইয়া আমার নিকট নিজেদের ইচ্ছা আকাঙক্ষা ও চাহিদা পূরণের জন্য আবেদন করে এবং সেই সব আবেদন আমি পরিপূর্ণভাবে মন্জুর করি,তবে ইহা আমার ভান্ডারসমূহে সমুদ্রের পানিতে সুই ডুবানোর পর যেটুকু পানি উঠিয়া আসে সেই পরিমানই শুধু কধু কম হইবে।হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের আমলসমূহ আমি তোমাদের জন্য সংরক্ষণ করিয়া রাখিতেছি।তারপর তোমােদরকে সেই সব আমলে পরিপূর্ণ বিনিময় দেওয়া হইবে।কাজেই যে ব্যক্তি নেক আমল করে সে যেন আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করে আর যে ব্যক্তি পাপ করিয়া ফেলে সে যেন নিজের প্রবৃত্তিকে নিজেই তিরস্কার করে।           -(মুসলিম)

Thursday, 21 July 2016

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বণর্না করেন,রাসূল (সাঃ) বলিয়াছেন, মানুষের অন্তরে শয়তানের পক্ষ হইতে এক প্রকার চিন্তার আবির্ভাব ঘটে,অন্য এক প্রকার চিন্তা ফেরেশতাদের পক্ষ হইতে আবির্ভাব ঘটে।শয়তানের পক্ষ হইতে যে চিন্তার আবির্ভাব ঘটে তাহার মধ্যে মন্দ কাজের প্রতি এবং সত্য অস্বীকার করার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়।ফেরেশতাদের পক্ষ হইতে যে চিন্তার আবির্ভাব ঘটে তাহাতে নেক আমলের প্রতি এবং সত্যকে মানিয়া নেওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়।কাজেই যে ব্যক্তি সত্য ও ন্যায়ের প্রতি এবং নেক আমলের প্রতি উৎসাহ অনুভব করে,তাহাকে বুঝিতে হইবে যে,ইহা আল্লাহর পক্ষ হইতে হেদায়েতস্বরুপ।আর এই অবস্হার উপর তাহার শোকর আদায় করা উচিত।আর যে ব্যক্তি নিজের মধ্যে অন্য অবস্হা অনুভব করে,তাহার উচিত অভিশপ্ত শয়তানের প্ররোচনা হইতে আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় চাওয়া।তারপর রাসূল (সাঃ) ক্বোরআনের একটি আয়াত পাঠ করিলেন,সেই আয়াতের অর্থ হইতেছে-শয়তান তোমাদেরকে দারিদ্রের ভয় দেখায় এবং পাপের প্রতি উৎসাহিত করে।-(তিরমিজি)
                                     

Monday, 4 July 2016

হাদীস শরীফ

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে,হযরত জিবরাঈল (আঃ) রাসূল (সাঃ)-এর নিকট বলিলেন, আমাকে বলুন ঈমান কাহাকে বলে।রাসূল (সাঃ) বলিলেন,ঈমানের বিবরণ এই যে,তুমি আল্লাহ তায়ালার প্রতি,আখেরাতের দিনের প্রতি,ফেরেশতাদের প্রতি,আল্লাহ তায়ালার কিতাবসমূহের প্রতি ও নবীগনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিবে।মৃত্যু ও মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবিত হওয়ার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিবে,বেহেশত দোযখ,হিসাব নিকাশ এবং আমলের পরিমাপের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিবে এবং তাকদীরের ভালো মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিবে।হযরত জিবরাঈল (আঃ) বলিলেন,এই সব কিছু বিশ্বাস করিলে আমি কি ঈমানদার হইব? রাসূল (সাঃ) বলিলেন,তুমি যখন এইসব বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিবে তখন তুমি ঈমানদার গণ্য হইবে।   -(মোসনাদে আহমদ)

Friday, 24 June 2016

আল কোরআন

সূরা আনআমে আল্লাহ তায়ালা বলেন-অদৃশ্যের চাবি তাঁহারই নিকট রহিয়াছে,তিনি ব্যতিত অন্য কেহ তাহা জানে না,জলেস্থলে যাহা কিছু আছে তাহা তিনি অবগত।তাঁহার অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও নড়ে না,মাটির অন্ধকারে এমন কোন শস্য কণাও অংকুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত,শুকনা এমন কোন বস্তু নাই যাহা সুস্পষ্ট কিতাবে নাই।তিনিই রাত্রিকালে তোমাদের মৃত্যু ঘটান এবং দিবসে যাহা তোমরা কর তিনি জানেন,তারপর দিবসে তিনি তোমাদেরকে পুনরায় জাগ্রত করেন যাহাতে নির্ধারিত কাল পূর্ণ হয়,তারপর তাঁহার দিকেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন,তারপর তোমরা যাহা কর সে সম্বন্ধে তোমাদেরকে তিনি অবগত করিবেন।
                                                         -(সূরা আনআম, আয়াত ৫৯-৬০) 

Saturday, 28 May 2016

আল কোরআন

বল হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ,তুমি যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান কর,যাহার নিকট হইতে ইচ্ছা ক্ষমতা কাড়িয়া লও,যাহাকে ইচ্ছা তুমি পরাক্রমশালী কর আর যাহাকে ইচ্ছা হীন কর,কল্যাণ তোমার হাতেই;তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।তুমি রাত্রিকে দিবসে পরিণত কর এবং দিবসকে রাত্রে পরিণত কর,তুমিই মৃতকে জীবিত এবং জীবিতকে মৃত কর,তুমি যাহাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবন উপকরণ দান কর।     -(সূরা আলে ইমরান-২৬-২৭)

Saturday, 14 May 2016

ঈমান

আল্লাহ তায়ালা শস্যবীজ ও আঁটি অনঙ্কুরিত করেন,তিনিই প্রাণহীন হইতে জীবন্তকে নিগর্ত করেন এবং জীবন্ত হইতে প্রাণহীনকে নিগর্ত করেন,এই তো আল্লাহ,কাজেই তোমরা কোথায় ফিরিয়া যাইতেছ?তিনিই ঊষার উন্মেষ ঘটান,তিনিই বিশ্রামের জন্য রাত্রি এবং গণনার জন্য সূর্য ও চাঁদ সৃষ্টি করিয়াছেন,এই সবই পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নিরুপণ।তিনিই তোমাদের জন্য নক্ষত্র সৃষ্টি করিয়াছেন,যেন তা দ্বারা স্থলেরও সমুদ্রের অন্ধকারে তোমরা পথ পাও;জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আমি নিদশর্ন বিশদভাবে বিবৃত করিয়াছি।তিনিই আকাশ হইতে বারি বষর্ণ করেন,অতঃপর তাহা দ্বারা আমি সকল প্রকার উদ্ভিদের চারা উদগম করি,তারপর তাহা হইতে সবুজ পাতা উদগত করি,পরে উহা হইতে ঘন সন্নিবিষ্ট শষ্য দানা উৎপাদন করি এবং খেজুর বৃক্ষের মাথি হইতে ঝুলন্ত কাঁদি নিগর্ত করি আর আঙ্গুরের উদ্যান সৃষ্টি করি এবং জয়তুন এবং দাড়িম্বও। ইহারা একে অন্যের অদৃশ এবং বিশদৃশ। লক্ষ্য কর,উহার ফলের প্রতি যখন উহা ফলবান হয় এবং উহার পরিপক্বতাপ্রাপ্তির প্রতি,মোমেন সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে অবশ্য নিদশর্ন রহিয়াছে।     -( সূরা আনআম, আয়াত ৯৫-৯৯ ) 

Sunday, 8 May 2016

অদৃশ্য বিষয়সমূহের প্রতি ঈমান

সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার উপর,এবং সমগ্র অদৃশ্য বিষয়ের উপর ঈমান আনা হযরত মোহাম্মদ(সঃ)যাহা কিছু বলিয়াছেন সেই সব না দেখিয়া বিশ্বাস করা মানিয়া লওয়া এবং রাসূল(সঃ)-এর দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করিয়া মানুষের অস্থায়ী জীবনের স্বাদ আহলাদ ও প্রত্যক্ষ দেখা ও বস্তুুগত অভিজ্ঞতা পরিত্যাগ করা।

Thursday, 5 May 2016

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস(রাঃ)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস(রাঃ) বলেন,রাসূল(সঃ) কে আমি একথা বলিতে শুনিয়াছি,কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতের মধ্যে এক ব্যক্তিকে বাছাই করিয়া সমগ্র সৃষ্টির সামনে উপস্থিত করিবেন। তারপর তাহার আমলের ৯৯ টি দফতর খোলা হইবে। প্রতিটি দফতর হইবে দৃষ্টি সীমা পযর্ন্ত বিস্তৃত। তারপর সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হইবে,তুমি কি এই সব আমলের মধ্য হইতে কোন আমল অস্বীকার কর? আমল লেখার কাজে নিয়োজিত ফেরেশ্তাগন কি তোমার উপর কোন প্রকার জুলুম করিয়াছে? সে বলিবে,না; জুলুম করে নাই,সঠিক লিখিয়াছে। আল্লাহ তায়ায়া তখন  জিজ্ঞাসা করিবেন, এত সব দুস্কর্য তুমি যে করিয়াছ, এ সম্পর্কে কি তোমার কোন ওজর আছে? সে বলিবে, জ্বিনা কোন ওজর নাই। আল্লাহ তায়ালা তখন বলিবেন,তোমার একটি নেকী আমার নিকট আছে। আজ তোমার উপর কোন প্রকার জুলুম করা হইবে না। তারপর আল্লাহ তায়ালা কাগজের একটি টুকরা বাহির করিবেন। সেই কাগজে লিখিত থাকিবে- আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মোহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। আল্লাহ তায়ালা বলিবেন,যাও; ইহা ওজন করিয়া লও। সে বলিবে,হে আল্লাহ! এত বড় বড় সকল দফতরের মোকাবিলায় এই কাগজের টুকরা কি কাজে আসিবে? আল্লাহ তায়ালা বলিবেন, তোমার উপর কোন জুলুম করা হইবে না। তারপর সকল দফতর এক পাল্লায় এবং কাগজের সেই টুকরো এক পাল্লায় রাখা হইবে।সেই কাগজের টুকরা অন্য সকল দফতরের চেয়ে ভারি হইবে। ৯৯টি দফতরের পাল্লা উড়িতে থাকিবে। আল্লাহর নামের মোকাবিলায় কোন জিনিস ওজনই রাখে না।
                                                         -( তিরমিজি)

Saturday, 23 April 2016

হযরত আনাস(রাঃ)

হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূ্ল (সঃ) কে আমি বলিতে শুনিয়াছি, কেয়ামত যখন অনুষ্ঠিত হইবে তখন আমাকে সুপারিশ করার অনুমতি দেওয়া হইবে। আমি আরজ করিব, হে আমার প্রতিপালক, যাহার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান রহিয়াছে তাহাকেও জান্নাতে প্রবেশ করাইয়া দিন। তারপর এই রকম সবাই জান্নাতে প্রবেশ করিবে। তারপর আমি আবেদন করিব, এই রকম সকলকেও জান্নাতে প্রবেশ করাইয়া দিন যাহাদের অন্তরে যৎসামান্য ঈমান রহিয়াছে।

Monday, 18 April 2016

হযরত ইবনে শিমাছা মাহরি।

হযরত ইবনে শিমাছা মাহরি বলেন, আমরা আমর ইবনুল আস (রাঃ)-এর মৃত্যুর সময় তাঁহার নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি দেওয়ালের দিকে ফিরিয়া দীর্ঘ সময় পযর্ন্ত কাঁদিতেছিলেন। তাঁহার পুত্র পিতাকে সান্ত্বনা দিয়া বলিলেন, হে আব্বাজান! রাসূল (সঃ) কি আপনাকে অমুক সুসংবাদ দেন নাই? একথা শুনিয়া হযরত আমর (রাঃ)পুত্রের দিকে মুখ ফিরাইয়া বলিলেন, সবচেয়ে উত্তম জিনিস যাহা তৈয়ার করিয়াছি তাহা হইতেছে একথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই এবং হযরত মোহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর রাসূল। আমার জীবনে ৩টি যুগ অতিবাহিত হইয়াছে। এক যুগ এমন ছিল যে, আমি ছিলাম রাসূলের চরম দুশমন সেই সময় আমি রাসূল (সঃ) কে হত্যা করার জন্য সুযোগসন্ধানী ছিলাম। ইহা আমার জীবনের সবচেয়ে নিকৃষ্ট যুগ। যদি সেই অবস্থায় আমি মারা যাইতাম তবে সন্দেহ নাই, আমি দোযখী হইতাম। তারপর মহান আল্লাহ আমার অন্তরে ইসলামের আলো জ্বালাইয়া দিলেন। রাসূল (সঃ) এর নিকট গিয়া আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার প্রতি আপনার হাত বাড়াইয়া দিন, আমি আপনার হাতে বাইয়াত করিব। রাসূল (সঃ) হাত বাড়াইয়া দিলে আমি নিজের হাত টানিয়া লইলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আমর! কি ব্যাপার? আমি বলিলাম, আমি কিছু শর্ত আরোপ করিতে চাই। তিনি বলিলেন, কি সেই শর্ত? আমি বলিলাম, আমার সকল পাপ যেন মাফ হইয়া যায়। রাসূল (সঃ) বলিলেন, আমর তুমি কি জান না, ইসলাম গ্রহণ করিলে কুফুরী জীবনের সকল পাপ মার্জনা হইয়া যায়। হিজরত ও পূর্বেকার সকল পাপ মার্জনা করায়। হজ্ব ও পূর্বেকার সকল পাপ ক্ষমা করিয়া দেয়। ইহা ছিল সেই যুগ যখন রাসূল (সঃ)-এর চেয়ে অধিক সন্মানিত ও মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ আমার নিকট অন্য কেহ ছিল না। তাহার বুজুর্গির কারনে তাঁহার প্রতি কখনো পরিপূর্ণ দৃষ্টিতে আমি তাকাইতে পারি নাই। আহা! যদি সেই অবস্থায় আমি  মারা যাইতাম তবে আশা করা যায়,আমি জান্নাতী হইতাম। তারপর আমর কিছু জিনিসের মোতাওয়াল্লী ও জিম্মাদার হইয়াছি। আমি জানি না আমাদের অবস্থা সে সকল জিনিসের মধ্যে কেমন হইয়াছে। শোন, মৃত্যুর পর আমার জানাযার সহিত যেন কোন বিলাপকারিণী মহিলা না যায়। আমার জানাযার সহিত যেন আগুন না নেওয়া হয়। দাফন শেষ হওয়ার পর আমার কবরের উপর ভালোভাবে মাটি দিও। মাটি দেওয়ার পর আমার কবরের নিকট একটি উট জবাই করিয়া গোশত বন্টনের সময় পরিমান অপেক্ষা করিবে। তোমাদের কারনে আমার অন্তর সান্ত্বনা লাভ করিবে,আমি যেন বুঝিতে পারি আমি আমার প্রভর প্রেরিত ফেরেশতাদের প্রশ্নের কি উত্তর দিতেছি।
                                                                                                     -( মুসলিম ) 

Sunday, 17 April 2016

বিষয়ভিত্তিক হাদীস

হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বণির্ত আছে, রাসূল (সঃ) বলেন,ঈমানের সত্তরটির অধিক শাখা রহিয়াছে।এইসব শাখার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম শাখা হইতেছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলা এবং সবচেয়ে নীচু শাখা হইতেছে রাস্তা হইতে কষ্টদায়ক জিনিস সরাইয়া দেওয়া। ইহা ছাড়া লজ্জা ঈমানের একটি বিশেষশাখা। -(মুসলিম)

Sunday, 14 February 2016

O, Allah! Save us from this punishment through Thy Mercy and Grace.

O, Allah! Save us from this punishment through Thy Mercy and Grace.
Ibn Abbas (Radhiyallaho anho) says:"Somebody asked Rasulullah (Sallallaho alaihe wasallam) as to which of the acts is the most virtuous. Rasululah (Sallallaho alaihe wasallam) replid ('al-haal wal-murtahil'). The man inqured,'O,Rasulullah (Sallaho alaihe wasallam)! what is 'alah-al wal murtahil?' Rasulullah (Sallallaho alaihe wasallam) replied,"It is that particular reader of the Qur'an who starts reading from the beginning and continues till he reaches its end,and after the end,he starts at the beginnig again. Wherever he stops,he proceeds further."