হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূ্ল (সঃ) কে আমি বলিতে শুনিয়াছি, কেয়ামত যখন অনুষ্ঠিত হইবে তখন আমাকে সুপারিশ করার অনুমতি দেওয়া হইবে। আমি আরজ করিব, হে আমার প্রতিপালক, যাহার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান রহিয়াছে তাহাকেও জান্নাতে প্রবেশ করাইয়া দিন। তারপর এই রকম সবাই জান্নাতে প্রবেশ করিবে। তারপর আমি আবেদন করিব, এই রকম সকলকেও জান্নাতে প্রবেশ করাইয়া দিন যাহাদের অন্তরে যৎসামান্য ঈমান রহিয়াছে।
Saturday, 23 April 2016
Monday, 18 April 2016
হযরত ইবনে শিমাছা মাহরি।
হযরত ইবনে শিমাছা মাহরি বলেন, আমরা আমর ইবনুল আস (রাঃ)-এর মৃত্যুর সময় তাঁহার নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি দেওয়ালের দিকে ফিরিয়া দীর্ঘ সময় পযর্ন্ত কাঁদিতেছিলেন। তাঁহার পুত্র পিতাকে সান্ত্বনা দিয়া বলিলেন, হে আব্বাজান! রাসূল (সঃ) কি আপনাকে অমুক সুসংবাদ দেন নাই? একথা শুনিয়া হযরত আমর (রাঃ)পুত্রের দিকে মুখ ফিরাইয়া বলিলেন, সবচেয়ে উত্তম জিনিস যাহা তৈয়ার করিয়াছি তাহা হইতেছে একথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই এবং হযরত মোহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর রাসূল। আমার জীবনে ৩টি যুগ অতিবাহিত হইয়াছে। এক যুগ এমন ছিল যে, আমি ছিলাম রাসূলের চরম দুশমন সেই সময় আমি রাসূল (সঃ) কে হত্যা করার জন্য সুযোগসন্ধানী ছিলাম। ইহা আমার জীবনের সবচেয়ে নিকৃষ্ট যুগ। যদি সেই অবস্থায় আমি মারা যাইতাম তবে সন্দেহ নাই, আমি দোযখী হইতাম। তারপর মহান আল্লাহ আমার অন্তরে ইসলামের আলো জ্বালাইয়া দিলেন। রাসূল (সঃ) এর নিকট গিয়া আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার প্রতি আপনার হাত বাড়াইয়া দিন, আমি আপনার হাতে বাইয়াত করিব। রাসূল (সঃ) হাত বাড়াইয়া দিলে আমি নিজের হাত টানিয়া লইলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, হে আমর! কি ব্যাপার? আমি বলিলাম, আমি কিছু শর্ত আরোপ করিতে চাই। তিনি বলিলেন, কি সেই শর্ত? আমি বলিলাম, আমার সকল পাপ যেন মাফ হইয়া যায়। রাসূল (সঃ) বলিলেন, আমর তুমি কি জান না, ইসলাম গ্রহণ করিলে কুফুরী জীবনের সকল পাপ মার্জনা হইয়া যায়। হিজরত ও পূর্বেকার সকল পাপ মার্জনা করায়। হজ্ব ও পূর্বেকার সকল পাপ ক্ষমা করিয়া দেয়। ইহা ছিল সেই যুগ যখন রাসূল (সঃ)-এর চেয়ে অধিক সন্মানিত ও মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ আমার নিকট অন্য কেহ ছিল না। তাহার বুজুর্গির কারনে তাঁহার প্রতি কখনো পরিপূর্ণ দৃষ্টিতে আমি তাকাইতে পারি নাই। আহা! যদি সেই অবস্থায় আমি মারা যাইতাম তবে আশা করা যায়,আমি জান্নাতী হইতাম। তারপর আমর কিছু জিনিসের মোতাওয়াল্লী ও জিম্মাদার হইয়াছি। আমি জানি না আমাদের অবস্থা সে সকল জিনিসের মধ্যে কেমন হইয়াছে। শোন, মৃত্যুর পর আমার জানাযার সহিত যেন কোন বিলাপকারিণী মহিলা না যায়। আমার জানাযার সহিত যেন আগুন না নেওয়া হয়। দাফন শেষ হওয়ার পর আমার কবরের উপর ভালোভাবে মাটি দিও। মাটি দেওয়ার পর আমার কবরের নিকট একটি উট জবাই করিয়া গোশত বন্টনের সময় পরিমান অপেক্ষা করিবে। তোমাদের কারনে আমার অন্তর সান্ত্বনা লাভ করিবে,আমি যেন বুঝিতে পারি আমি আমার প্রভর প্রেরিত ফেরেশতাদের প্রশ্নের কি উত্তর দিতেছি।
-( মুসলিম )
-( মুসলিম )
Sunday, 17 April 2016
বিষয়ভিত্তিক হাদীস
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বণির্ত আছে, রাসূল (সঃ) বলেন,ঈমানের সত্তরটির অধিক শাখা রহিয়াছে।এইসব শাখার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম শাখা হইতেছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলা এবং সবচেয়ে নীচু শাখা হইতেছে রাস্তা হইতে কষ্টদায়ক জিনিস সরাইয়া দেওয়া। ইহা ছাড়া লজ্জা ঈমানের একটি বিশেষশাখা। -(মুসলিম)
Subscribe to:
Posts (Atom)