Saturday, 28 May 2016

আল কোরআন

বল হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ,তুমি যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান কর,যাহার নিকট হইতে ইচ্ছা ক্ষমতা কাড়িয়া লও,যাহাকে ইচ্ছা তুমি পরাক্রমশালী কর আর যাহাকে ইচ্ছা হীন কর,কল্যাণ তোমার হাতেই;তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।তুমি রাত্রিকে দিবসে পরিণত কর এবং দিবসকে রাত্রে পরিণত কর,তুমিই মৃতকে জীবিত এবং জীবিতকে মৃত কর,তুমি যাহাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবন উপকরণ দান কর।     -(সূরা আলে ইমরান-২৬-২৭)

Saturday, 14 May 2016

ঈমান

আল্লাহ তায়ালা শস্যবীজ ও আঁটি অনঙ্কুরিত করেন,তিনিই প্রাণহীন হইতে জীবন্তকে নিগর্ত করেন এবং জীবন্ত হইতে প্রাণহীনকে নিগর্ত করেন,এই তো আল্লাহ,কাজেই তোমরা কোথায় ফিরিয়া যাইতেছ?তিনিই ঊষার উন্মেষ ঘটান,তিনিই বিশ্রামের জন্য রাত্রি এবং গণনার জন্য সূর্য ও চাঁদ সৃষ্টি করিয়াছেন,এই সবই পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নিরুপণ।তিনিই তোমাদের জন্য নক্ষত্র সৃষ্টি করিয়াছেন,যেন তা দ্বারা স্থলেরও সমুদ্রের অন্ধকারে তোমরা পথ পাও;জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আমি নিদশর্ন বিশদভাবে বিবৃত করিয়াছি।তিনিই আকাশ হইতে বারি বষর্ণ করেন,অতঃপর তাহা দ্বারা আমি সকল প্রকার উদ্ভিদের চারা উদগম করি,তারপর তাহা হইতে সবুজ পাতা উদগত করি,পরে উহা হইতে ঘন সন্নিবিষ্ট শষ্য দানা উৎপাদন করি এবং খেজুর বৃক্ষের মাথি হইতে ঝুলন্ত কাঁদি নিগর্ত করি আর আঙ্গুরের উদ্যান সৃষ্টি করি এবং জয়তুন এবং দাড়িম্বও। ইহারা একে অন্যের অদৃশ এবং বিশদৃশ। লক্ষ্য কর,উহার ফলের প্রতি যখন উহা ফলবান হয় এবং উহার পরিপক্বতাপ্রাপ্তির প্রতি,মোমেন সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে অবশ্য নিদশর্ন রহিয়াছে।     -( সূরা আনআম, আয়াত ৯৫-৯৯ ) 

Sunday, 8 May 2016

অদৃশ্য বিষয়সমূহের প্রতি ঈমান

সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার উপর,এবং সমগ্র অদৃশ্য বিষয়ের উপর ঈমান আনা হযরত মোহাম্মদ(সঃ)যাহা কিছু বলিয়াছেন সেই সব না দেখিয়া বিশ্বাস করা মানিয়া লওয়া এবং রাসূল(সঃ)-এর দেওয়া সংবাদ বিশ্বাস করিয়া মানুষের অস্থায়ী জীবনের স্বাদ আহলাদ ও প্রত্যক্ষ দেখা ও বস্তুুগত অভিজ্ঞতা পরিত্যাগ করা।

Thursday, 5 May 2016

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস(রাঃ)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস(রাঃ) বলেন,রাসূল(সঃ) কে আমি একথা বলিতে শুনিয়াছি,কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা আমার উম্মতের মধ্যে এক ব্যক্তিকে বাছাই করিয়া সমগ্র সৃষ্টির সামনে উপস্থিত করিবেন। তারপর তাহার আমলের ৯৯ টি দফতর খোলা হইবে। প্রতিটি দফতর হইবে দৃষ্টি সীমা পযর্ন্ত বিস্তৃত। তারপর সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হইবে,তুমি কি এই সব আমলের মধ্য হইতে কোন আমল অস্বীকার কর? আমল লেখার কাজে নিয়োজিত ফেরেশ্তাগন কি তোমার উপর কোন প্রকার জুলুম করিয়াছে? সে বলিবে,না; জুলুম করে নাই,সঠিক লিখিয়াছে। আল্লাহ তায়ায়া তখন  জিজ্ঞাসা করিবেন, এত সব দুস্কর্য তুমি যে করিয়াছ, এ সম্পর্কে কি তোমার কোন ওজর আছে? সে বলিবে, জ্বিনা কোন ওজর নাই। আল্লাহ তায়ালা তখন বলিবেন,তোমার একটি নেকী আমার নিকট আছে। আজ তোমার উপর কোন প্রকার জুলুম করা হইবে না। তারপর আল্লাহ তায়ালা কাগজের একটি টুকরা বাহির করিবেন। সেই কাগজে লিখিত থাকিবে- আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মোহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। আল্লাহ তায়ালা বলিবেন,যাও; ইহা ওজন করিয়া লও। সে বলিবে,হে আল্লাহ! এত বড় বড় সকল দফতরের মোকাবিলায় এই কাগজের টুকরা কি কাজে আসিবে? আল্লাহ তায়ালা বলিবেন, তোমার উপর কোন জুলুম করা হইবে না। তারপর সকল দফতর এক পাল্লায় এবং কাগজের সেই টুকরো এক পাল্লায় রাখা হইবে।সেই কাগজের টুকরা অন্য সকল দফতরের চেয়ে ভারি হইবে। ৯৯টি দফতরের পাল্লা উড়িতে থাকিবে। আল্লাহর নামের মোকাবিলায় কোন জিনিস ওজনই রাখে না।
                                                         -( তিরমিজি)