Friday, 29 July 2016

হযরত আবু জর (রাঃ)।

     হযরত আবু জর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে,রাসূল (সাঃ) হাদীসে কুদসীতে তাঁহার প্রতিপালকেরর এই বাণী উল্লেখ করিয়াছেন,হে আমার বান্দাগণ আমি নিজের উপর জুলুমকে হারাম করিয়াছি,কাজেই তোমাদের মধ্যেও জুলুম হারাম করা হইয়াছে।কাজেই তোমরা একে অন্যের উপর জুলুম করিবেনা।হে আমার বান্দাগণ!তোমরা সবাই পথভ্রষ্ট যাহাকে আমি হেদায়েত দান করি সে ব্যতীত।কাজেই তোমরা আমার নিকট হেদায়েত চাও,আমি তোমাদেরকে হেদায়েত দান করিব।হে আমার বান্দাগণ!তোমরা সবাই ক্ষুধার্ত সেই ব্যক্তি ব্যতীত,যাহাকে আমি আহার করাই।কাজেই তোমরা আমার নিকট আহার চাও,আমি তোমাদেরকে আহার করাইব।হে আমার বান্দাগণ! তোমরা সকলেই বস্ত্রহীন শুধু সেই ব্যক্তি ব্যতীত,যাহাকে আমি পরিধান করাই।কাজেই তোমরা আমার নিকট বস্ত্র চাও,আমি তোমাদেরকে পরিধান করাইব।
      হে আমার বান্দাগণ! তোমরা দিনরাত গুনাহ কর আর আমি তেমাদের গুনাহসমূহ মাফ করি।কাজেই তোমরা আমার নিকট মাফ চাও,আমি ক্ষমা করিয়া দিব।হে আমার বান্দাগণ! তোমরা আমার ক্ষতি করিতে চাহিলে কখনো আমার কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না।আর তোমরা আমার উপকার করিতে চাহিলে উপকারও করিতে পারিবে না।হে আমার বান্দাগণ!যদি তোমাদের পূর্ববর্তী পরবর্তী সকল মানুষ ও জিন সেই ব্যক্তির মত হয় যাহারা অন্তরে আমার   ভয় সবচেয়ে বেশী বিদ্যমান,তবে ইহা আমার রাজত্ব সামান্যও বৃদ্ধি করিতে পারিবে না।হে আমার বান্দাগণ!যদি তোমাদের পূর্ববর্তী পরবর্তী সকল মানুষ এবং জিন সেই ব্যক্তির মত হয় যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশী পাপচারী দুস্কৃতকারী,তবে ইহা আমার রাজত্বের কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না।হে আমার বান্দাগণ!তোমাদের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সকল মানুষ ও জিন যদি খোলা ময়দানে দাঁড়াইয়া আমার নিকট নিজেদের ইচ্ছা আকাঙক্ষা ও চাহিদা পূরণের জন্য আবেদন করে এবং সেই সব আবেদন আমি পরিপূর্ণভাবে মন্জুর করি,তবে ইহা আমার ভান্ডারসমূহে সমুদ্রের পানিতে সুই ডুবানোর পর যেটুকু পানি উঠিয়া আসে সেই পরিমানই শুধু কধু কম হইবে।হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের আমলসমূহ আমি তোমাদের জন্য সংরক্ষণ করিয়া রাখিতেছি।তারপর তোমােদরকে সেই সব আমলে পরিপূর্ণ বিনিময় দেওয়া হইবে।কাজেই যে ব্যক্তি নেক আমল করে সে যেন আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করে আর যে ব্যক্তি পাপ করিয়া ফেলে সে যেন নিজের প্রবৃত্তিকে নিজেই তিরস্কার করে।           -(মুসলিম)

Thursday, 21 July 2016

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বণর্না করেন,রাসূল (সাঃ) বলিয়াছেন, মানুষের অন্তরে শয়তানের পক্ষ হইতে এক প্রকার চিন্তার আবির্ভাব ঘটে,অন্য এক প্রকার চিন্তা ফেরেশতাদের পক্ষ হইতে আবির্ভাব ঘটে।শয়তানের পক্ষ হইতে যে চিন্তার আবির্ভাব ঘটে তাহার মধ্যে মন্দ কাজের প্রতি এবং সত্য অস্বীকার করার প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়।ফেরেশতাদের পক্ষ হইতে যে চিন্তার আবির্ভাব ঘটে তাহাতে নেক আমলের প্রতি এবং সত্যকে মানিয়া নেওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়।কাজেই যে ব্যক্তি সত্য ও ন্যায়ের প্রতি এবং নেক আমলের প্রতি উৎসাহ অনুভব করে,তাহাকে বুঝিতে হইবে যে,ইহা আল্লাহর পক্ষ হইতে হেদায়েতস্বরুপ।আর এই অবস্হার উপর তাহার শোকর আদায় করা উচিত।আর যে ব্যক্তি নিজের মধ্যে অন্য অবস্হা অনুভব করে,তাহার উচিত অভিশপ্ত শয়তানের প্ররোচনা হইতে আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় চাওয়া।তারপর রাসূল (সাঃ) ক্বোরআনের একটি আয়াত পাঠ করিলেন,সেই আয়াতের অর্থ হইতেছে-শয়তান তোমাদেরকে দারিদ্রের ভয় দেখায় এবং পাপের প্রতি উৎসাহিত করে।-(তিরমিজি)
                                     

Monday, 4 July 2016

হাদীস শরীফ

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে,হযরত জিবরাঈল (আঃ) রাসূল (সাঃ)-এর নিকট বলিলেন, আমাকে বলুন ঈমান কাহাকে বলে।রাসূল (সাঃ) বলিলেন,ঈমানের বিবরণ এই যে,তুমি আল্লাহ তায়ালার প্রতি,আখেরাতের দিনের প্রতি,ফেরেশতাদের প্রতি,আল্লাহ তায়ালার কিতাবসমূহের প্রতি ও নবীগনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিবে।মৃত্যু ও মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবিত হওয়ার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিবে,বেহেশত দোযখ,হিসাব নিকাশ এবং আমলের পরিমাপের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিবে এবং তাকদীরের ভালো মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিবে।হযরত জিবরাঈল (আঃ) বলিলেন,এই সব কিছু বিশ্বাস করিলে আমি কি ঈমানদার হইব? রাসূল (সাঃ) বলিলেন,তুমি যখন এইসব বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিবে তখন তুমি ঈমানদার গণ্য হইবে।   -(মোসনাদে আহমদ)