Thursday, 16 February 2012

ঈমান ও এবাদাত কি?

Visit naw 
কাহারো উপর পূর্ণ আস্থার কারনে তাহার কথা পরিপুর্নভাবে মানিয়া নেওয়াকে অভিধান অনুযায়ী
ঈমান বলা হয়।ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় 
রাসূল (সাঃ)-এর আনীত সংবাদসমূহ না দেখিয়া
নিশ্চিতভাবে মানিয়া নেওয়াকে ঈমান বলা হয়।
মহাপরাত্রূমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তায়ালা পবিত্র ক্বোরআনে সুরা আম্বিয়ায় বলেনঃ-আমি তোমার
পূর্বে এমন কোন রাসূল প্রেরণ করি নাইতাহার প্রতি এই ওহী ব্যতিত যে,আমি ছাড়া অন্য কোন
ইলাহা নাই,কাজেই আমারই এবাদত কর। (সুরা আম্বিয়া,আয়াত ২৫)

সুরা আনফালে আল্লাহ তায়ালা বলেন-মমেন তো তাহারাই,যাদের অন্তর কম্পিত হয় যখন আল্লাহকে
স্মরন করা হয় এবং যখন তাহার আয়াত তাহাদের নিকট পাঠ করা হয় তখন উহা তাহাদের ঈমান
বৃদ্ধি করে এবং তাহারা তাহাদের প্রতিপালকের উপরই নির্ভর করে। (সুরা আনফাল,আয়াত ২)

সুরা নিছায় আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ-যাহারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে এবং তাহাকে অবলম্বন করে,
তাহাদেরকে তিনি তাহার দয়া ও অনুগ্রহের মধ্যে প্রবেশ করাইবেন এবং তাহাদেরকে সরল পথে তাহার
দিকে পরিচালিত করিবেন। (সুরা নিছা,আয়াত ১৭৫)

সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ-নিশ্চয় আমি আমার রাসূলদেরকে এবং মোমেনদেরকে সাহায্য করিব
পার্থিব জীবনে এবং যেদিন সাক্ষীগন দন্ডায়মান হইবে। (সুরা মোমেন,আয়াত ৫১)

সুরা আনআমে মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ-যাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং তাহাদের ঈমানকে জুলুম দ্বারা
কলুষিত করে নাই,নিরাপত্তা তাহাদের জন্য এবং তাহারাই সৎপথপ্রাপ্ত।(সুরা আনআম,আয়াত ৮২)

সুরা বাকারায় আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ-যাহারা ঈমান আনিয়াছে,আল্লাহর প্রতি তাহাদের ভালোবাসা দৃঢ়তম।
(সুরা বাকারা,আয়াত ১৬৫)

মহাপরাত্রূমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তায়ালা আরো বলেনঃ-বল,আমার নামাজ,আমার এবাদত, আমার জীবন
ও আমার মরন জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্যে। (সুরা আনআম,আয়াত ১৬২)



No comments:

Post a Comment