Wednesday, 25 September 2024

তাওহীদ ও শির্ক ২ Tawhid O Shirk 2

আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তোমার নিকটতম স্বজনবর্গকে তুমি সতর্ক ক’রে দাও। 

(শুআ’রাঃ ২১৪) এই আয়াত যখন অবতীর্ণ হল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আত্মীয় ও বংশকে 

সম্বোধন করে বললেন, হে কুরাইশদল! তোমরা আল্লাহর নিকট নিজেদেরকে বাঁচিয়ে নাও, 

আমি তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহর নিকট কোন উপকার করতে পারব না। হে বানী আব্দুল মুত্তালিব! 

আমি আল্লাহর দরবারে তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হে চাচা আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব! 

আমি আল্লাহর দরবারে আপনার কোন কাজে আসব না। হে আল্লাহর রসূলের ফুফু সাফিয়্যাহ! 

আমি আপনার জন্য আল্লাহর দরবারে কোন উপকারে আসব না। হে আল্লাহর রসূলের বেটী ফাতেমা

আমার কাছে যে ধন-সম্পদ চাইবে চেয়ে নাও, আমি আল্লাহর কাছে তোমার কোন উপকার করতে পারব না।(বুখারী ৩৫২৭, মুসলিম ৫২২, ৫২৫)

আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতে লোকেরা সবাই সুপারিশের জন্য আদম, 

নূহ, ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসা নবীর কাছে যাবে। তাঁরা একে একে সকলে ওযর পেশ করলে অবশেষে লোকেরা 

শেষনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলবে, হে মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর রসূল।

আপনি আখেরী নবী। আল্লাহ আপনার পূর্বাপর যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন। 

অতএব আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করুন। 

আপনি কি দেখছেন না, আমরা কি (ভয়াবহ) দুঃখ ও যন্ত্রণা ভোগ করছি।

তখন তিনি চলে যাবেন এবং আরশের নীচে তাঁর প্রতিপালকের জন্য সিজদাবনত হবেন। 

অতঃপর আল্লাহ তাঁর প্রশংসা ও গুণগানের জন্য তাঁর হৃদয়কে এমন উন্মুক্ত করে দেবেন, 

যেমন ইতিপূর্বে আর কারো জন্য করেননি। অতঃপর আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠাও, চাও, তোমাকে দেওয়া হবে।

সুপারিশ কর, গ্রহণ করা হবে। তখন শেষনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা উঠিয়ে বলবেন,

আমার উম্মতকে রক্ষা করুন হে আমার প্রতিপালক! আমার উম্মতকে রক্ষা করুন 

হে প্রতিপালক! আমার উম্মতকে রক্ষা করুন হে প্রতিপালক!(বুখারী ৩৩৪০, মুসলিম ৫০১) 

Saturday, 14 September 2024

তাওহীদ ও শির্ক Tawhid O Shirk

 আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, 

আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

কিয়ামতের দিন আল্লাহ আমার উম্মতের একটি লোককে বেছে নিয়ে 

তার সামনে নিরানব্বইটি আমল-নামা রেজিষ্টার বিছিয়ে দেবেন; 

প্রত্যেকটি রেজিষ্টার দৃষ্টি বরাবর লম্বা! অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করবেন, 

তুমি কি লিখিত পাপের কোন কিছু অস্বীকার কর? 

আমার আমল সংরক্ষক ফিরিশতা কি তোমার প্রতি কোন অন্যায় করেছে? 

লোকটি বলবে, না, হে আমার প্রতিপালক!

আল্লাহ বলবেন, তোমার কি কোন পেশ করার মত ওযর আছে অথবা তোমার কি কোন নেকী আছে? 

লোকটি হতবাক হয়ে বলবে, না, হে আমার প্রতিপালক! আল্লাহ বলবেন, অবশ্যই আমাদের কাছে তোমার একটি নেকী আছে। 

আর আজ তোমার প্রতি কোন প্রকার অবিচার করা হবে না।

অতঃপর একটি কার্ড বের করা হবে, যাতে লেখা থাকবে, 

আশহাদু আল লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ অআন্না মুহাম্মাদান আবদুহু অরসূলুহ।

আল্লাহ মীযান দাঁড়িপাল্লা আনতে আদেশ করবেন। লোকটি বলবে, হে আমার প্রতিপালক! 

এতগুলি বড় বড় রেজিষ্টারের কাছে এই কার্ডটির ওজন আর কী হবে? 

আল্লাহ বলবেন, তোমার প্রতি অবিচার করা হবে না।

অতঃপর রেজিষ্টারগুলোকে দাঁড়ির এক পাল্লায় এবং ঐ কার্ডটিকে অন্য পাল্লায় চড়ানো হবে। 

দেখা যাবে, 

রেজিষ্টারগুলোর ওজন হাল্কা এবং কার্ডটির ওজন ভারী হয়ে গেছে! যেহেতু আল্লাহর নামের চেয়ে অন্য কিছু ভারী নয়।

(আহমাদ ৬৯৯৪, তিরমিযী ২৬৩৯, ইবনে মাজাহ ৪৩০০, হাকেম১/৪৬)

আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

নূহ (আঃ) মৃত্যুর সময়

তাঁর দুই ছেলেকে অসিয়ত করে বললেন,আমি তোমাকে লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার আদেশ করছি। 

যেহেতু যদি সাত আসমান এবং সাত যমীনকে দাঁড়িপাল্লার এক পাল্লায় রাখা হয় এবং

 লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহকে অপর পাল্লায় রাখা হয়,

তাহলে লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহর পাল্লা বেশী ভারী হবে। যদি সাত আসমান এবং সাত যমীন নিরেট গোলাকার বস্তু হয়,

তাহলেও লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ তা চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবে।(আহমাদ ৭১০১, ত্বাবরানী, বায্যার, মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/২১৯, সিঃ সহীহাহ ১৩৪)

জাবের (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোন কিছুকে 

আল্লাহর শরীক শির্ক না করে 

মারা যাবে, সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি কোন কিছুকে আল্লাহর শরীক শির্ক করে মারা যাবে, 

সে ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে।(মুসলিম ২৭৯)