আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তোমার নিকটতম স্বজনবর্গকে তুমি সতর্ক ক’রে দাও।
(শুআ’রাঃ ২১৪) এই আয়াত যখন অবতীর্ণ হল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আত্মীয় ও বংশকে
সম্বোধন করে বললেন, হে কুরাইশদল! তোমরা আল্লাহর নিকট নিজেদেরকে বাঁচিয়ে নাও,
আমি তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহর নিকট কোন উপকার করতে পারব না। হে বানী আব্দুল মুত্তালিব!
আমি আল্লাহর দরবারে তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হে চাচা আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিব!
আমি আল্লাহর দরবারে আপনার কোন কাজে আসব না। হে আল্লাহর রসূলের ফুফু সাফিয়্যাহ!
আমি আপনার জন্য আল্লাহর দরবারে কোন উপকারে আসব না। হে আল্লাহর রসূলের বেটী ফাতেমা!
আমার কাছে যে ধন-সম্পদ চাইবে চেয়ে নাও, আমি আল্লাহর কাছে তোমার কোন উপকার করতে পারব না।(বুখারী ৩৫২৭, মুসলিম ৫২২, ৫২৫)
আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতে লোকেরা সবাই সুপারিশের জন্য আদম,
নূহ, ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসা নবীর কাছে যাবে। তাঁরা একে একে সকলে ওযর পেশ করলে অবশেষে লোকেরা
শেষনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলবে, হে মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর রসূল।
আপনি আখেরী নবী। আল্লাহ আপনার পূর্বাপর যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন।
অতএব আপনি আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করুন।
আপনি কি দেখছেন না, আমরা কি (ভয়াবহ) দুঃখ ও যন্ত্রণা ভোগ করছি।
তখন তিনি চলে যাবেন এবং আরশের নীচে তাঁর প্রতিপালকের জন্য সিজদাবনত হবেন।
অতঃপর আল্লাহ তাঁর প্রশংসা ও গুণগানের জন্য তাঁর হৃদয়কে এমন উন্মুক্ত করে দেবেন,
যেমন ইতিপূর্বে আর কারো জন্য করেননি। অতঃপর আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মাদ! মাথা উঠাও, চাও, তোমাকে দেওয়া হবে।
সুপারিশ কর, গ্রহণ করা হবে। তখন শেষনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা উঠিয়ে বলবেন,
আমার উম্মতকে রক্ষা করুন হে আমার প্রতিপালক! আমার উম্মতকে রক্ষা করুন
হে প্রতিপালক! আমার উম্মতকে রক্ষা করুন হে প্রতিপালক!(বুখারী ৩৩৪০, মুসলিম ৫০১)
No comments:
Post a Comment