বদরী সাহাবী রিফাআহ ইবনে রাফে’ যুরাক্বী (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিবরীল এসে বললেন, বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদেরকে আপনাদের মাঝে কীরূপ গণ্য করেন? তিনি বললেন, সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিমদের শ্রেণীভুক্ত গণ্য করি। অথবা অনুরূপ কোন বাক্যই তিনি বললেন। জিবরীল (আঃ) বললেন, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ফিরিশতাগণও অনুরূপ সর্বশ্রেষ্ঠ ফিরিশতাগণের শ্রেণীভুক্ত।(বুখারী ৩৯৯২)
আবূ যার্র (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই আমি দেখি, যা তোমরা দেখতে পাও না এবং শুনি, যা তোমরা শুনতে পাও না। আকাশ কট্কট্ করে শব্দ করছে। আর এ শব্দ তার করা সাজে। এতে চার আঙ্গুল পরিমাণ এমন জায়গা নেই, যেখানে কোন ফিরিশতা আল্লাহর জন্য সিজদায় নিজ কপাল অবনত রাখেননি। আল্লাহর কসম! তোমরা যদি জানতে যা আমি জানি, তবে তোমরা কম হাসতে এবং বেশী কাঁদতে এবং বিছানায় তোমরা স্ত্রীদের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে না। বরং তোমরা আল্লাহর আশ্রয় নেওয়ার জন্য পথে পথে বের হয়ে যেতে।(আহমাদ ২১৫১৬, তিরমিযী ২৩১২, ইবনে মাজাহ ৪১৯০, হাকেম ৩৮৮৩, সিলসিলা সহীহাহ ১৭২২)
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, বদর যুদ্ধে মুসলিমদের এক আনসারী ব্যক্তি মুশরিকদের এক ব্যক্তির পিছনে ধাওয়া করছিল।হঠাৎ সে তার উপরে চাবুকের শব্দ শুনতে পেল এবং অশ্বারোহীর শব্দ ঘোড়া হাঁকানোর শব্দ শুনতে পেল, অগ্রসর হও হাইযূম।অতঃপর সে মুশরিককে তার সামনে দেখতে পেল, সে চিৎ হয়ে পড়ে গেল। লক্ষ্য করল, মুশরিকের নাক বিক্ষত হয়েছে এবং তার মুখমণ্ডল ছিঁড়ে গেছে। যেন চাবুকের আঘাত পড়েছে, ফলে পুরোটা সবুজ বা কালো হয়ে গেছে। আনসারী এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ঘটনা খুলে বললে তিনি বললেন, ঠিক বলেছ, এ ছিল তৃতীয় আসমান থেকে সাহায্য।(মুসলিম ৪৬৮৭)
আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খন্দক থেকে ফিরে এসে অস্ত্র নামিয়ে রেখে গোসল করলে জিবরীল (আঃ) এসে নিজ মাথা থেকে ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে তাঁকে বললেন, আপনি অস্ত্র নামিয়ে রেখেছেন? আল্লাহর কসম! আমরা রাখিনি। ওদের দিকে বের হয়ে চলুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কাদের দিকে?জিবরীল (আঃ) বানূ কুরাইযার প্রতি ইঙ্গিত করলেন।(বুখারী ৪১১৭, মুসলিম ৪৬৯৭)
No comments:
Post a Comment